ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ফেইস মাস্ক ব্যবহার পদ্ধতি

 

সুন্দর এবং কোমল ত্বক কে না পেতে চায়। সুন্দর এবং কোমল ত্বকের জন্য নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হয়ে। আর বর্তমান সময়ে ত্বকের মধ্যে থাকা ধুলা-বালি, ময়লা পরিষ্কার করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেইস মাস্ক। আসুন যেনে নেই ফেইস মাস্ক গুলো কিভাবে কাজ করে...

১) শিট মাস্ক: হাতে সময় নেই? কিন্তু! চট জলদি ত্বকে লাবণ্য আনতে চান? আপনার জন্য রয়েছে শিট মাস্ক। পাতলা তুলোর কাপড়ের মতো দেখতে এই মাস্কে সিরাম সহ নানান উপকারী উপাদান মোশানো থাকে যা ত্বকে অ্যান্টি-অক্সিডান্টের জোগান দেয়। শিট মাস্কের দাম একটু বেশি, কিন্তু! এটা ত্বকে দ্রুত আর্দ্রতার জোগান দিতে হলে জুড়ি নেই এই শিট মাস্কের।

২) পিল-অফ মাস্ক: যাঁদের ত্বক তেলতেলে, প্রায়ই ব্রণ বেরোয়, তাঁরা আস্থা রাখতে পারেন পিল-আফ মাস্কে। পিল-অফ মাস্ক একটা জেলের মতো দেখতে, যা মুখে লাগানোর পর শুকিয়ে যায় আর তা টেনে তুলতে হয়। মাস্ক নে তোলার সময় মুখে জমে থাকা সমস্ত মৃত কোষ ও ধুলো-ময়লা ও মাস্কে সঙ্গেই উঠে আসে। তাই ব্রণের সমস্যা থাকলে ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চোখ বন্ধ করে বেছে নিন পিল-অফ মাস্ক।

৩) বাবল মাস্ক: বাবল মাস্ক, এই বস্তুটি অপেক্ষাকৃত নতুন। ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই বাবল মাস্কের জনপ্রিয়তা চোখে পড়বে আপনার। এই মাস্কটি লাগানোর আগে স্বাভাবিক ভাবেই থাকে, কিন্তু মুখে লাগানোর পরেই সাবানের ফেনার মতো ফুলে ফুলে উঠতে শুরু করে এবং সেই সঙ্গেই ত্বকের রোমছিদ্রগুলো গভীর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকে পুষ্টির জোগান দেয়। আপনার ত্বক যদি নিষ্প্রাণ বিবর্ণ দেখায়, রোমছিদ্র বন্ধ থাকে, তবে বেছে নিন বাবল মাস্ক।

৪) স্লিপ মাস্ক: ফিল-অফ মাস্কের ঠিক বিপরীতে রয়েছে স্লিপ মাস্ক। এক ওভারনাইট মাস্কও বলা হয়। অর্থাৎ এই মাস্ক মুখে লাগিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়াই এই মাস্কের কাজ। রাতে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন, সকালে আর্দ্র, ঝলমলে ত্বক অভিবাদন জানাবে আপনাকে।