Recents in Beach

রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসা, রক্তক্ষরণ বন্ধের ১০টি ঘরোয়া পদ্ধতি - AtoZ শিক্ষা


রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত: রক্ত হলো এক প্রকার তরল পদার্থ। এর রং লাল। হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে রক্তের রং লাল দেখায়। শরীরের কোন স্থানে আঘাতের ফলে বা কেটে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সেই ক্ষত হতে যে রক্ত বের হয় তাকে রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত বলা হয়। বিভিন্ন ভাবে হতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে কঠিন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করার প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো:

রক্তক্ষরণ বন্ধের প্রাথমিক চিকিৎসা:
১) রোগীকে বসানো যায় এমন স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। এতে রক্তপাত আপনা-আপনি কমে যাবে।
২) যে স্থান হতে রক্তপাত হচ্ছে, সে স্থানে হৃদপিন্ডের সমতার উপর তুলে ধরলে রক্তপাত অনেকটা কমে যাবে।
৩) সামান্য কেটে গেলে ওেই স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আপনা-আপনি রক্তপাত বন্ধ হয়।
৪) কাটা স্থানে ‍বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ প্রয়োগ করলে অনেক সময় রক্তপাত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৫) আহত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে যাতে ওই স্থানে নাড়া পাওয়ার মাধ্যমে রক্তপাত হয়। তাই আহত অংশের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে।
৬) রক্তপাতের স্থানে যত দ্রুত সম্ভব বরফ ব্যবহার করতে হবে। এতে রক্তপাত বন্ধ হয়।
৭) ক্ষতস্থানে স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে ক্ষতস্থান জীবাণু আক্রান্ত না হয়, তাছাড়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতস্থানে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যাণ্ডেজ দিয়ে বাঁধতে হবে।
৮) রক্তপাত বন্ধের জন্য প্রত্যেককে ও পরোক্ষভাবে চাপ দিতে হবে।
৯) বেশি রক্তপাত হলে টুর্নিকেট ব্যবহার করতে হবে। টুর্নিকেট অর্থ হলো প্রাথমিক বাঁধনকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শক্ত করে তোলা। ক্ষতস্থান ঢিলা করে তার ভিতরে একটি খাঁটি বা পেন্সিল ঢুকিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরালে বাঁধনটি ক্রমশ শক্ত হয়ে রক্তপাত বন্ধ হয়।
১০) তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিত হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং ঔষুধ গ্রহণ করতে হবে।

উপরোক্ত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আপনি রক্তপাতের ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments