Recents in Beach

মহিলাদের সতীত্ব আছে, না নেই, কিভাবে বুঝবেন?


মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে বিশেষ কিছু কথা: 
সাধারনত কোনো মেয়ে সতী কিনা সেটার বিচার হয় যদি সেই মেয়েটির প্রথম রাতের (বাসর বা ফুলশয্যা) রক্তপাত দিয়ে। আর আমাদের মনে হয় যে এমন মানসিকতা অনেকেরই আছে। কিন্তু! দুঃখের সাথে জানাই এটা আপনাদের একটা ভূল ধারনা। রক্তপাত হলেই যে সে সতী হবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আর প্রথম রাতের রক্তপাত এই এই ধারন সত্যতা ০%। সব মেয়ের প্রথম রাত্রে মিলনের সময় রক্তপাত হয় না। এটা বুঝতে হলে আপনাদেরকে হাইমেন সম্পর্কে জানতে হবে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক হাইমেন সম্পর্কে:

হাইমেন কি?
হাইমেন হলো এমন এক পর্দা যা যোনির মুখকে ঢেকে রাখে (অনেকে ভাবে এটা পুরো যোনিকে ঢাকে, যা একটা ভুল চিন্তা)। হাইমেন এমন একটা পর্দা যেটা সকল মেয়েদেরই থাকে। তবে, এটা বয়স বারার সাথে সাথে ফেটে যেতে পারে অথবা যে সকল মেয়েরা বেশি খেলাধুলা করে তাদের হাইমেন ও আপনা-আপনি ফেটে যেতে পারে। তার মানে, প্রথম রাত্রে কোন মেয়ের মিলনের সময় যদি রক্তপাত নাও হয় এতে আপনি ধরে নিতে পারেন না যে, সে মেয়েটি সতী ছিলো না। হতে পারে, সে মেয়ের বয়স বারার কারণে বা বেশি দুরন্তপনার (খেলাধুলার কারণে) সতীত্ব পর্দা বা হাইমেন ফেটে গেছে।

নারী ভেদে হাইমেন ভিন্ন হয়:
এটা উচ্চতা, গঠন এবং ওজনের উপর নির্ভর করে। কারোর এটি মোটা আবার কারুর পাতলা। কারোর হাইমেন বৃহত্তর আবার কারুর স্বাভাবিক নিয়মে খুব ছোট হয়। হাইমেন বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মিলিয়েও যায়। বেশির ভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে সাইকেল চালানো, শরীরচর্চা বা নাচ করলে হাইমেন ক্ষয় হয়ে যায়। তাই,  সে সকল মেয়েদের বিয়ের প্রথম রাত্রে রক্ত না বের হবার সম্ভবনা ৬৩% (British_Medical_Journal)। তাই দেখা যায় একটা ১৫-১৬ বছরের মেয়ের একটা ২৫ বছরের মেয়ের থেকে রক্তপাত হবার সম্ভবনা বেশি হয় বয়স কম হবার কারণে। মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্কা হবার সাথে সাথে হাইমেন ক্ষয় হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত ধরে নেওয়া যেতে পারে। কম বয়সিদের ক্ষেত্রে আগের বর্ণিত কারন গুলি রক্তপাত না হবার জন্য দ্বায়ী।

এবার আসি কখন রক্তপাত হতে পারে?
হাইমেন থাকার কারণে স্বাভাবিক ভাবে রক্তপাত হতে পারে আবার দেখা যায় হাইমেন না থাকা স্বত্বেও জোরপূর্বক সঙ্গম করা হলো বা কোন নারী সঙ্গমের জন্য তৈরী হবার পূর্বে জোর করে সঙ্গম করলে হয়। যা নারীদের শরীরে যন্ত্রণা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রক্তপাতের কারণ হাইমেনের পরিবর্তে এই সব হয়। নারীরা প্রথম রাতের রক্তপাত হবার কারন এইগুলি ৩৭%।

এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের পোস্ট করার কারন একটা খবরে দেখলাম যে শুধু সন্দেহের কারণে আমাদের সমাজে অনেক নারীকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। যেটা একটা মেয়ের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। আমি জানি এটা শেয়ার করার ক্ষমতা খুব অল্প লোকেরই আছে। আর যারা এটা শেয়ার করতে লজ্জা পাবে তারাই আবার  সেক্স এডুকেশন নিয়ে বড় বড় লেকচার দেয়।

বি:দ্র: কারোর ব্যাপারে সত্যিটা না জেনে তাকে ভূল বুঝে, বা কারোর মিথ্যা কথায় প্রভাবিত হয়ে কখনো কারুর বিচার করতে নেই।

Post a Comment

0 Comments