ঠাণ্ডা ও গরম দুধ খাওয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন, গরম দুধ খেলে উপকার বেশি হয়। আসলে কি তাই?
এক গ্লাস দুধে আছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন-১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে। শক্ত করে পেশি। শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে সুস্থ রাখে ঔষুধ ছাড়াই।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন দুধ খেলে বেশি উপকার হয়? ঠাণ্ডা না গরম? বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য কোন দুধ খাওয়া উপকারী?
ঠাণ্ডা দুধ স্থুলতা কময়। আর ভালো ঘুম বা হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন। কোনটা আপনার জন্য উপকারী, সেটি আপনি ই ভালো বুঝতে পারছেন তাই তহ? আসুন তাহলে জেনে নেই বিস্তারিত:
ঠাণ্ডা ও গরম দুধের উপকারিতা:
১) দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
২) এক ঘুমে রাত কাবার করতে চাইলে ঠাণ্ডা নয়, বেছে নিন গরম দুধ।
৩) ঠাণ্ডা দুধ স্থুলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থুলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ঔষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
৪) ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে। তবে, রাতে ভুলেও খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।
0 Comments