বাইরের ধুলোবালি, দূষণ, জীবাণু ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষার জন্য অন্যতম জরুরি বিষয় হল শ্লেষ্মা বা সর্দি। এই শ্লেষ্মা নাসিকা পথে ঢোকা বাতাসের সঙ্গে প্রবেশকারী যাবতীয় ক্ষতিকর পদার্থকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার হাত থেকে রক্ষা করে। নাসিকা পথের বিশেষ কোষ থেকে শ্লেষ্মা বা সর্দি তৈরি হয়।
কিন্তু! কথায় আছে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। তেমনই এই শ্লেষ্মা বা সর্দি অর্থাৎ নাকের ভেতরের ভেজা ভাব যদি অতিরিক্ত হয় তা হলেই তা অস্বস্তির কারণ হয়। নাক দিয়ে জল পড়তে থাকে। ক্লান্তি আনে, চোখ দিয়ে জল পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া অতিরিক্ত সর্দির কারণে শ্বাস কষ্ট যেমন হয়ই, তেমনই জিভের স্বাদও নষ্ট করে দেয়। খাবারে অরুচি দেখা দেয়।
এই সর্দির জন্য দায়ী থাকে অনেক সময়ই জীবাণু, অ্যালার্জি, সংক্রমণ। তবে, তাছাড়াও কিছু কিছু খাদ্যাভ্যাসের জন্যও সর্দি হয়। তেমনই কয়েকটি খাবার যদি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
দুধ ও দগ্ধজাত খাবার: বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যাসিন ও ল্যাকটোস শরীরে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে তাদের পক্ষে মাখন, ঘি, চিজ, দই, আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো।
সোয়া: দুধের বদলে সোয়া মিল্ক খাবার কথা চিন্তা করলেও সেটি তালিকা থেকে বাদ রাখাই ভালো। কারণ! এতে হাই প্রোটিন থাকে। কিন্তু! তা শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়তা করে। তেমনই সোয়া নাট, মিশো ইত্যাদি খাবার গুলো না খাওয়াই উত্তম।
মিষ্টি: মিষ্টি জাতীয় খাবার, আইসক্রিম এবং চিনি এই সবও নাসিকা পথে সর্দির উৎপাদন বাড়াতে পারে। সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মিষ্টিও দায়ী থাকে। নাক বন্ধ থাকলে জিভের স্বাধ নেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে যায়।
কোলড্রিংস: কোলড্রিংস এ থাকে চিনি, ক্যাফেন ইত্যাদি। এই সমস্যা বাড়াতে এদের অবদান অনেক। এর বদলে গরম পানীয় পান করা উত্তম। এতে সর্দির পরিমাণ কমে।
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার: বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন কোষে সর্দি তৈরিতে সাহায্য করে। তাই এই জাতীয় খাবারও না খাওয়া ভালো।
0 Comments