অন্যান্য ঔষধের মতো জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ির ও রয়েছে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
জন্ম নিয়ন্ত্রক ছাড়াও অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ‘সস্ট’জনীত ব্রণ, ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম’, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানো ইত্যাদিরে সমস্যা সারাতে চিকিৎসকরা জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে, গবেষণা বলছে এই ধরনের ঔষধ নারীর মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে এই বিষয়ে জানানো হল বিস্তারিত:
জন্ম নিয়ন্ত্রক ঔষধ কাজ করে হরমোনের মাধ্যমে। তাই এগুলো সেবনের কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফলাফল হতে পারে অনিয়মিত ও বিলম্বিত ঋতুস্রাব। অনেকেই আবার এই ঔষধ গুলো সেবনের পর বমিভাব অনুভব করেন, এমনকি বমি হতেও পারে। এছাড়াও স্তনের স্পর্শকাতরতা বাড়তে পারে, ব্যথা হতে পারে, শরীরের ওজন বাড়তে পারে, দেখা দিতে পারে ‘মুড সুইং’।
মস্তিষ্কের উপরেও জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ির প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালে. রেডিওলজি সোসাইট অফ নর্থ আমেরিকায় ১০৫ তম বার্ষিক সম্মেলনে এ বিষয়ক এক গবেষণা উপস্থাপন করা হয়। এতে মোট ৫০ জন নারীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ২১ জন নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রক ঔষধ সেবন করছিলেন। যারা জন্ম নিয়ন্ত্রক ঔষধ সেবন করেছেন তাদের মস্তিষ্কের আশঙ্কাজনক পরিবর্তন লক্ষ করেন গবেষকরা।
গবেষকরা দেখেন, যারা ঔষুধ সেবন করছিলেন তাদের মস্তিষ্কের হাইথ্যালামাসয়ের ঘনত্ব আর যারা ঔষুধ সেবন করেন নি বা করছিলেন না তাদের হাইপোথ্যালামাসয়ের ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। হাইপোথ্যালামাস হল যৌনক্ষমতা, ঘুম চক্র, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, খাওয়ার রুচি ইত্যাদি িনিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু।
গবেষণার প্রধান গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাস ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স রিসার্চ সেন্টারয়ের রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লিপটন বলেন, মুখে খাওয়া জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি মস্তিষ্কের কাঠামোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে এর কার্যক্ষমতায় যে সম্ভাব্য সংঘর্ষ ঘটায় তা প্রাথমিক গবেষণায় জোরালো সম্পর্ক পাওয়া যায়।
তাই জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন এই গবেষকরা।
0 Comments