আলকুশি একটি ঔষধি গাছ। এর রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুযোগ রয়েছে।
আলকুশি এর উপকারিতা:
১) কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেক যন্ত্রণা কমে যায়।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি ও গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়েরর রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
৬) আলকুশির শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
৮) শিকড়ের রস জীব-জন্তুর গায়ের ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
আলকুশির বৈজ্ঞানিক নাম:
মকুনা পুরিয়েন্স। ইংরেজিতে এর নাম Velvet Bean, Cowitch, Cowhage, Kapikachu, Nescafe, Sea bean। এটি ফ্যাবাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ। বোটানিক্যাল নামের পুরিয়েন্স শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ চুলকানির অনুভূতি। ফলের খোসা ও পাতায় আছে:- সেরাটোনিন, যার কারণে চুলকানির উদ্রেক হয়।
মধ্য আমেরিকায় আলকুশির বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করা হয় কফির বিকল্প হিসেবে। এ কারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে। গুয়েতেমালায় কেচি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও খাদ্যশস্য হিসেবে এটি আবাদ করে, সবজি হিসেবে রান্না হয়।
0 Comments