Recents in Beach

জেনে নিন ফাঁকা দাঁতের নানা চিকিৎসা


সুন্দর হাসি কে না চায়? কিন্তু! দাঁত যদি হয় ফাঁকা, তাহলে তো আর সুন্দর হাসি হবে না। মাঝে মধ্যে দেখা যায় অনেকের সামনের দাঁত বেশ ফাঁকা, তাই তারা কথা বলার সময় মুখে হাত দিয়ে ঢেকে কথা বলেন। শুধুই কি তাই? স্বাধীনভাবে হাসতে না পেরে মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে প্রতিভা বিকোশে বাধা পায়। কিন্তু! আধুনিক দন্তচিকিৎসায় এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান রয়েছে। সাধারণত ৩ টি পদ্ধতিতে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সে গুলো কি কি:

১) অর্থোডন্টিক পদ্ধতি:  এ পদ্ধতিতে রিমুভেবল প্লেট বা ফিক্সড ব্রেস দাঁতে পরিয়ে আস্তে আস্তে সহনীয় মাত্রায় চাপ প্রয়োগ করে দাঁত ‍গুলোকে একটিত্র করা হয়।

২) লাইট কিউর ফিলিং পদ্ধতি:  এই পদ্ধতিতে দাঁতগুলোকে প্রথমে এক ধরনের অম্ল বা এসিড (৩০% অর্থোফসফরিক এসিড) দিয়ে ১৫-২০ সেকেন্ড দাঁতের গায়ে প্রয়োগ করে আণুবীক্ষণিক গর্ত সৃষ্টি করা হয়। পরে দাঁতের শেড বা রঙ অনুযায়ী কম্পোজি িফিলিং দাঁতের গায়ে ফাঁকা অনুযায়ী লাগিয়ে তার ওপর এক ধরনের কম ক্ষতিকারক রে (জধু) প্রয়োগে ফিলিং শক্ত করা হয়। তারপর বিভিন্ন রকম পলিশার দিয়ে ফিলিং ও বাইরের স্তর মসৃণ করা হয়।

এ ফিলিংয়ের সুবিধা হলো দাঁতের রঙ অনুযায়ী ফিলিং করা যায় এবং খরচও কম। তবে, অসুবিধা হলো, শক্ত খাবার, যেমন: টোস্ট বিস্কুট, পেয়ারা, হাড়জাতীয় খাবার খেলে ফিলিং ভেঙে বা খুলে যেতে পারে।

৩) পোরসেলিন ক্যাপ: এটি একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ভাঙা বা খুলে যাওয়ার কোনো ভয় থাকে না। এটি কিছুটা ব্যয়বহুল, তবে, স্থায়ী পদ্ধতি। এতে প্রথমে দাঁতকে রুট ক্যানেল করে তারপর চার পাশে কেটে কিছুটা ছোট করে আকার দেয়ার পর কৃত্রিম একধরনের পোরসেলিন ক্যাপ পরিয়ে দেয়া হয়। এটা পরে আর খোলা যায় না। দাঁতের রঙের সাথে মিল রেখে এ ক্যাপ তৈরি করতে হয়। যে পদ্ধতিই রোগীরা বেছে নেন না কেন, একটা কথা কিন্তু রয়েই যায়, তা হলো অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের সাহায্য নিয়ে কাজ করবেন। 

লেখিকা: কনসালটেন্ট ডেন্টাল সার্জন, নাহিদ ডেন্টাল কেয়ার , ১১৭/১, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা।

ফোন: +8801712285372

Post a Comment

0 Comments